এই বছর ২০২০ সাল ইতিহাসের স্মরণকালের একটি কাল অধ্যায়। এই বছর পুরো বিশ্বের কাছেই একটি অভিশপ্ত বছর হিসেবে গণ্য। আর সেই কালো অধ্যায়ের বছরে যুক্ত হয়েছে আরেকটি নাম,
যিনি হলেন সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল সাবাহ, যিনি কুয়েতের আমির ছিলেন। উনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ৯১ বছর বয়েসে মারা গিয়েছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ইতি মধ্যে কুয়েতের নতুন আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আস-সাবাহর তার পদে অভিষিক্ত হয়েছেন। এবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের ফ্লাইট চালু ও দেশে ছুটিতে গিয়ে আটকেপড়া প্রবাসীদের ফিরিয়ে নিতে কুয়েতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে কুয়েতের নতুন আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আহমদ নাসেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। সাক্ষাৎ শেষে দুপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী কুয়েতের নতুন আমির ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের ফ্লাইট চালু করতে ও ছুটিতে আটকে থাকা প্রবাসীদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে বিনিযোগ এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে ভৌগোলিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ থেকে দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও প্রকৌশলী নিতে দেশটির নতুন আমিরকে অনুরোধ করেন।
ড. আবদুল মোমেন বনে, বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের ফ্লাইট চালুর বিষয়ে দুদিন পর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আহমদ নাসের।
প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যেকোনো সমস্যার লিখিত অভিযোগ দেবেন আমরা ব্যবস্থা নেব। সরকার প্রবাসীদের ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এছাড়াও প্রবাসীদের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রদক্ষেপ ও সুযোগ-সুবিধার কথা বলেন এবং ধাপে ধাপে প্রত্যেক দেশে এই সেবা কার্যক্রম দ্রুত শুরুর কথা জানান মন্ত্রী।
রোববার (৪ অক্টোবর) দুই দিনের সফরে কুয়েতের নতুন আমিরকে অভিনন্দন জানাতে এবং সাবেক আমিরের মৃত্যুতে শোকবার্তা ও সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বার্তা নিয়ে কুয়েতে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিমিয়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন- কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, ডিফেন্স এর্টাসি মোহাম্মদ আবু নাসের, দূতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব নিয়াজ মুর্শেদ, কাউন্সিলর পাসপোর্ট ও ভিসা সচিব জহিরুল ইসলাম খান, দ্বিতীয় সচিব হাসান মনিরুল মহিউদ্দিন প্রমুখ।